শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে দূর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম হত্যার মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে বাদী ও পরিবারের স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে; আর মামলার মূল আসামিরা এখনো আইন-শৃংখলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় জীবনের নিরাপত্তার হুমকীতে ভূগছেন নিহতের স্বজনরা।
স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, মামলা তুলে না নিলে স্বজনদেরও নিহত জহিরুলের মত একই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি আসামিদের।
শুক্রবার বেলা ১২ টায় কক্সবাজার সদরের লিংকরোডস্থ নিজ বাড়ীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ভাই ও মামলার বাদী কুদরত উল্লাহ সিকদারসহ পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেছেন। এসময় নিহতের স্ত্রী মাইরিন মোস্তফা ও তার সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে নিহত শ্রমিক নেতা জহিরুল ইসলাম সিকদারের স্ত্রী মাইরিন মোস্তফা অভিযোগ করেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান লিয়াকত আলী সিকদারের নেতৃত্বে তার স্বামী জহিরুল ইসলাম সিকদারকে একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ৩ মাস পরও হামলা ঘটনায় জড়িত মূল আসামিদের আইন-শৃংখলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে এজাহারভূক্ত অপর ৫ আসামি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে এসে বাদী ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
হত্যা ঘটনায় জড়িত মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মামলার আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে এতিম ৩ সন্তান নিয়ে তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আসামিদেও গ্রেপ্তাওে পুলিশের কোন ধরণের তৎপরতা নেই।
গত ৫ নভেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোড স্টেশনে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা শেষে নিজের ব্যক্তিগত অফিসে কর্মি-সমর্থকদের সঙ্গে আলাপরত অবস্থায় কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ এবং কুপিয়ে জখম কওে একদল দূর্বৃত্ত। এতে তিনজন আহত হন। পরে গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা যান। এ ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর কুদরত উল্লাহ সিকদার বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ঝিলংজা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হন। মামলার প্রধান আসামি ও নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী লিয়াকত আলী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply